
প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৭ মে ২০১৫
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রবন্ধাবলি
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
হিজড়া জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যগত আচার অনুষ্ঠানের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা : একটি নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ
প্রবন্ধাবলি
প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৭ মে ২০১৫
DOI:
ISSN:
সারসংক্ষেপ
আমাদের সমাজে হিজড়া পরিচয়ে কিছু মানুষের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়। হিজড়া মূলত তাদেরকেই বলা হয় যাদের লিঙ্গ সম্পর্কে সঠিক ও নিশ্চিত ধারণা পাওয়া যায় না। আপাতদৃষ্টিতে তাদের আচার-আচরণ কখনো পুরুষ আবার কখনো নারীর ন্যায় মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে তাদের মানসিকতা, চাহিদা ও আচারআচরণ অনেক ক্ষেত্রেবিপরীতধর্মী হয়ে থাকে। অঞ্চলভেদে তাদেরকে 'কিননার', 'আরাভানি', 'জেনানা', কোতি' প্রভৃতি নামে অভিহিত করা হয়। তবেবাংলাদেশে তারা সাধারণত 'হিজড়া' বা 'কোতি' নামে সবার কাছে পরিচিত। ফারসি শব্দ 'হীজ' হতে 'হিজড়া' শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে নপুংসক, ক্লীব, একইদেহে স্ত্রী ও পুংচিহ্নযুক্ত মানুষ। অর্থাৎ হিজড়ারা হচ্ছেনপুংসক, ক্লীব, বৃহন্নলা, খোঁজা বা পৌরুষহীন ব্যক্তি যে পরিপূর্ণ। পূর্ণ একজন পুরুষও নয়, আবার নারীও নয়। তাদের নারী বা পুরুষের ন্যায় সুস্থ যৌনাঙ্গ নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ত্তানের মতে, যৌনাঙ্গের গঠনে ত্রুটি, সেক্স ক্রোমোজোমের সমস্যা, হরমনের তারতম্য এবং মারওবিভিন্ন কারণে একটি শিশু হিজড়া হয়ে জন্মাতে পারে। শিশুটি বয়স বাড়ার সাথে সাথে বৃহৎসমাজ থেকে পৃথক হয়ে যায় এবং হিজড়া গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হয়। এই বিচ্ছিন্নতার কারণে সমাজের কাছ থেকে তারা তেমন শ্রদ্ধা, সম্মান ও নিরাপত্তা পায় না। এ কারণে তারা নিজস্ব সমাজব্যবস্থা, অর্থনৈতিক জীবন, আচার-অনুষ্ঠান ষ্ঠান, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সর্বোপরি নিজস্ব জীবনবোধ গড়ে তুলেছে।