প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৬ আগষ্ট ২০১০

প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৬ আগষ্ট ২০১০

উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রবন্ধাবলি

উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশে হাদীস চর্চা : একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা

  • মো: আবুল কালাম সরকার এবং ড. সুহাম্মদ মুসলেহ উদ্দীন
  • Authors Email:
  • Date of submission :
  • Date of Acceptance :

প্রবন্ধাবলি

প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৬ আগষ্ট ২০১০
DOI:
ISSN:

  • Page No : 57-84

সারসংক্ষেপ

ইসলামী শরীয়াতের মূল চার উৎসের মধ্যে হাদীস তথা সুন্নাহ'র স্থান দ্বিতীয়। সে কারণেই ইসলামী শিক্ষার একটি বৃহৎ অংশ জুড়ে রয়েছেহাদীস চর্চা বাহাদীস শাস্ত্র। বাংলাদেশে হাদীস চর্চার ইতিহাস খুব দীর্ঘদিনের না হলেও একেবারে কমও নয়। আরবে ইসলাম বিস্তারের পর সেখানকার মুসলিমরা তাদের পূর্বে পুরুষদের চিরাচরিত পেশা অবলম্বন করে ব্যবসা-বাণিজ্যে তৎপর হয়ে ওঠে। এদেরই একটি দল উপমহাদেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হবার ফলে এ অঞ্চলে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত করার ও প্রসারেনিজেদের নিয়োজিত করেন এবং একই সাথে ইসলামী শরিয়তের অন্যতম মৌলিক উৎস হাদীস চর্চার সম্প্রসারণেও ব্রতী হন। বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক আকারে হাদীস চর্চা শুরু হয় ত্রয়োদশ শতকে। এ শতাব্দীতে হযরত মখদুম শাহ্ মাহমুদ গজনবী (১৩শ শতকে) তাঁর ১৭জন সহচরসহ পশিমবঙ্গে মোঙ্গল কোটে, শাহ তুরকান শহীদ (মৃ. ১২৮৮ খৃ) বগুড়ায় সর্ব প্রথম মাদ্রাসা স্থাপন করেন। ১২৩ খৃ. ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজী কর্তৃক বঙ্গ বিজয়ের পর দেশে বহু মসজিদ-মাদ্রাসা স্থাপিত হয় এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কুরআন হাদীসের ব্যাপক চর্চা শুরু হয়। ১২৭৮ খৃ. প্রখ্যাত মুহাদ্দিস শরফুদ্দীন আবু তাওয়ামা তৎকালীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ে আগমন করেন এবং সেখানে হাদীস শিক্ষার একটি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। মুহাদ্দিস আবু তাওয়ামাই সর্ব প্রথ বাংলাদেশে সহীহায়ন ও মুসলিম নিয়ে আসেন এবং সোনারগাঁয়ে পাঠ দান শুরু করেন। চতুর্দশ শতাব্দিতে হযরত শাহজালাল ইয়ামেনী (মৃ. ১৩৪৬ খৃ.)তাঁর ৩৬০ জন সহচর সহ দ্বীন প্রচারের উদ্দেশে র্ববঙ্গে তথা বাংলাদেশে আগমন করেন। এ শতাব্দীতে কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে সৈয়দ আহমদ কল্লাশহীদ (১৩শ-১ শতক) হযরত রাস্তি শাহ (১৪শ শতক),দিনাজপুরের প্রখ্যাত আলিম মাওলানা আতা (১৩৬৫ খৃষ্টাব্েদের পূর্বে মৃত), তৎকালীন বাঙলার কেন্দ্রস্থল গৌড় ও পান্ডুয়ার শেখ আখি সিরাজ উদ্দীন (মৃ.১৩৫৭ খৃ.) চট্টা গ্রামের শাহ বদরুদ্দীন আল্লামা (মৃ.১৪১৪ খৃ.) ও প্রমুখ বরেণ্য ওলামা এ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধর্ম প্রচার তথা হাদীস চর্চায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। পঞ্চদশ শতাব্দীতে খান জাহান আলী (মৃ. ১৪৫৯ খৃ.) ও তাঁর তাঁর সুযোগ্য শিষ্যগণ যশোর, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে ইসলাম ধর্ম প্রচার এবং হাদীস চর্চায় উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা কা পালন করেন। বাঙলায় হাদীস চর্চার সূচনা ও ক্রমবিকাশ বিষয়ে অনেক মূল্যবান গবেষণা সম্পাদিত হয়েছে। তন্মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবী ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ এছহাক Indian's Contribution to the study of hedith Literature শিরোনামে পিএইচ ডিডিগ্রীকরেছেন। ইত:মধ্যে আলোচ্য গ্রন্থটির বাংলা, উর্দু ও আরবী অনুবাদও করা হয়েছে। যাই হোক আলোচ্য প্রবন্ধে আমরা স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশ ভূখন্ডে হাদীস চর্চা বিষয়ে একটি নাতিদীর্ঘ পর্যালোচনা উপস্থাপনের প্রয়াস পাব।

মূল শব্দ:


Leave a Comment