সামাজিক-বিজ্ঞান-গবেষণাঃ-পদ্ধতি-ও-প্রক্রিয়া

সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষণা পদ্ধতি

উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্ৰ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া

বাংলাদেশে পদার্থবিদ্যা চর্চা হিরন্ময়

  • সেন গুপ্ত
  • Authors Email:
  • Date of submission:
  • Date of Acceptance:

সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষণা পদ্ধতি

DOI:
ISSN :

  • Page No : 196-206

ভূমিকা

গালিব আহসান খানের 'বিজ্ঞান, পদ্ধতি ও প্রগতি' বই-এর উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু করছিঃ
"বিজ্ঞানের উদ্ভব ঘটেছিল কিন্তু অবৈজ্ঞানিকভাবে। এটা কূটভাষের মত শোনালেও এটাই ছিল স্বাভাবিক। কারণ, বিজ্ঞানকে আমরা পাই বিজ্ঞানের উদ্ভবের পর। আর তাই, বিজ্ঞানের উদ্ভব যখন ঘটে, ঠিক সে- সময়টায় বিজ্ঞান ছিল না, সুতরাং, বৈজ্ঞানিকভাবে বিজ্ঞানের উদ্ভব ঘটার কোন উপায়ও ছিল না। সে-সময়টাতে আমরা যা পাই তা হলো বিজ্ঞানের উদ্ভব ঘটার পক্ষে সহায়ক কিছু কর্মকান্ড, কিছু প্রক্রিয়া। ”
বক্তব্যটিকে আরও স্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন কয়েকটি সুন্দর উদাহরণের সাহায্যে। তাদের একটি হচ্ছে গ্রীক্ দার্শনিকদের পরমাণু সম্পর্কীয় ধারণা। গ্রীক- পরমানুবাদীগণ (পাঠক লক্ষ্য করুন, পরমাণুবিদ নন, কারণ প্রাক্ পরমাণু আবিষ্কারের কথা বলছি) বিশ্বাস করতেন যে, বিশ্বের সব কিছুরই মূল উপাদান হচ্ছে পরমাণু। পরমাণু সম্পর্কে তাঁরা যে ধারণা পোষণ করতেন, তা হচ্ছে, "এই পরমাণু হল অস্তিত্বশীল সত্তার অবিভাজ্য, অবিনশ্বর ও ক্ষুদ্রতম একক।' *পরমাণু গতিসম্পন্ন, এবং সেই গতি বিরামহীনভাবে প্রবহমান থাকবে।” পরবর্তীতে পরমাণু আবিষ্কার হয়। আবিষ্কারের পরে আমরা জানি, এ ধারণা আংশিক সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। আংশিক সত্য বলেই হয়ত ধারণাটি ভ্রান্তিপূর্ণ। অণু ও পরমাণুর পার্থক্য ঐ সময় থাকারও কথা নয়। পরমাণু, আমরা এখন জানি, অবিভাজ্য নয়, অবিনশ্বরও নয়। 'অস্তিত্বশীল সত্তা' কথাটির অর্থ বোঝার চেষ্টা করছিলাম। ‘অস্তিত্ব” শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে 'বিদ্যমানতা', 'স্থিতি', 'সত্তা'। আর 'সত্তা'-এর অর্থ (আভিধানিক) হচ্ছে 'অস্তিত্ব', ইত্যাদি। অনুরূপভাবে 'অস্তিত্ব'-এর ইংরেজি হচ্ছে existence', 'presence', 'being' ইত্যাদি, আর ‘সত্তার’ ইংরেজি 'existence', 'presence' 'entity' ইত্যাদি। তাহ'লে কি দাঁড়াচ্ছে?

Keywords:


Leave a Comment