প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ২ জুলাই, ১৯৮৯
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রবন্ধাবলি
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশে বন্যা : পরিপ্রেক্ষিত কারণ ও করণীয়
প্রবন্ধাবলি
প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ২ জুলাই, ১৯৮৯
DOI:
ISSN:
সারসংক্ষেপ
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ প্রায়ই বলতেন যে বাংলাদেশের কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের ভ্রকুটী এবং হাসির উপরই অনেকখানি নির্ভরশীল । আর ছোট বেলায় আমরা আমাদের সর্ববিদ্যার আকর সুবৃহৎ রচনার বইগুলিতে পড়েছি বাংলা- দেশের কৃষি হচ্ছে মৌসুমী জল-বায়ুর ক্রীড়া ।
সুতরাং বাংলাদেশে বছর বছর বন্যার প্রার্দুভাব কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। প্রতিবছর বর্ষাকালে এদেশের নদী-নালা খাল-বিল টই- টুম্বুর হয়ে ভরে উঠে। অতঃপর দুই কুল উপচে পড়া পানি যন্ত্র-তন্ত্র প্রবেশ করে। মানুষের প্রচুর অসুবিধা সৃষ্টি হয়। প্রচুর সম্পদ বিনষ্ট হয়। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে এই ধরনের মৌসুমী বন্যার সঙ্গে আমরা নদী অববাহিকার মানুষেরা জন্মাবধি পরিচিত।
কিন্তু বন্যা ’৮৮ সেরকম ধরনের কোন গতানুগতিক মৌসুমী বন্যা ছিল না। এর অস্বাভাবিকত্ব নিহিত আছে এর রেকর্ড ভঙ্গকারী স্থায়ীত্ব, আকস্মিকতা, বিস্তৃতি এবং গভীরতার মাঝে। এ বছর দেশের ৪৭টি জেলার ২৯৩টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২ কোটি ১০ লাখ মানুষ যার মধ্যে ১ কোটিই হলো কৃষক এ পর্যন্ত পাওয়া হিসাবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭০ জন। গবাদি পশু মারা গেছে প্রায় এক লাখ। খাদ্য শস্যের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৪ লাখ কারো মতে টাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩০০০ কোটি টাকার টন ।