প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৪ জুন ১৯৯৯
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রবন্ধাবলি
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অবসরগ্রহণ ও পেনশনঃ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ
প্রবন্ধাবলি
প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৪ জুন ১৯৯৯
DOI:
ISSN:
সারসংক্ষেপ
যদিও বর্তমান প্রবন্ধে প্রধানতঃ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অবসর গ্রহণ ও পেনশন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে তথাপি এ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে বাংলাদেশের সমাজের সঙ্গে আমেরিকান সমাজের তুলনাও করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সরকারী বেসামরিক পর্যায়ের চাকরিজীবি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রবন্ধকারদ্বয় তাদের আলোচনা সীমাবদ্ধ রেখেছেন। গবেষণায় দেখা যায় রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট যেমন পেনশন, গ্রাচুইটি ইত্যাদি যতই বেশি বা আশাব্যাঞ্জক হবে এবং চাকরি থেকে আয়কৃত অর্থ যতই বেশি সঞ্চয় থাকবে অবসরগ্রহণের প্রতি মনোভাব ততই কম নেতিবাচক হবে। মানুষের প্রত্যাশিত আয়ু বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে ৬০+ বয়সী অনেক লোকই যথেষ্ট কর্মক্ষম থাকছেন-অথচ বাংলাদেশে একটি নির্দিষ্ট বয়সে বাধ্যতামূলকভাবে অবসরগ্রহণ করতেই হয়। এভাবে অবসরপ্রাপ্ত বয়স্ক লোকদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোকই যথেষ্ট কর্মক্ষম থাকা সত্ত্বেও তারা অবসরগ্রহণ করেন এবং জীবনের বাকি অংশ কারও কারও কাছে একঘেয়েমী এবং useless মনে হতে পারে। আমাদের মত বেকার সমস্যায় জর্জরিত সমাজে অবসরগ্রহণের বয়সসীমা বেশি বাড়ানোর সুযোগ সীমিত বিধায় অবসর গ্রহণের পর কর্মঠ বয়স্কদের জন্য নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি করা, রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট বাড়িয়ে দেয়া এবং আকর্ষনীয় আর্থিক সুবিধে দিয়ে golden hand shake এর ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অবসরগ্রহণে খুব কম লোকই মনঃকষ্ট অনুভব করবেন। উত্তরদাতাদের অনেকেই অবশ্য অবসরগ্রহণের বয়স সীমা কিছুটা বাড়িয়ে দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। কিছুটা উদ্যোগ নেয়া সত্ত্বেও পেনশন প্রাপ্তির জটিলতা দূর হয়নি। অবসর গ্রহণের পরবর্তী মাস থেকেই যাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনায় অবসরগ্রহণকারীরা তাদের পেনশন-গ্রাচুইটি পেতে পারেন সে ব্যবস্থা নিশ্চিত না করলে প্রবীণ অবসরপ্রাপ্তদের দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তায় নিক্ষেপ করা হবে। পাশাপাশি তাদের জন্যও চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা নিশ্চিত করা আশু জরুরী।