প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৪ জুন ১৯৯৯

প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৪ জুন ১৯৯৯

উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রবন্ধাবলি

উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মৃত্যুর সামাজিক মনস্তত্ত্ব

  • ডঃ মুহাম্মাদ হাবিবুর রহমান
  • Authors Email:
  • Date of submission :
  • Date of Acceptance :

প্রবন্ধাবলি

প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৪ জুন ১৯৯৯
DOI:
ISSN:

  • Page No : 33-59

সারসংক্ষেপ

বর্তমান প্রবন্ধে মৃত্যুকে সংজ্ঞায়িত করার সমস্যা, মৃত্যু ও সমাজকাঠামো এবং মৃত্যুর প্রতি মনোভাব সম্পর্কেই প্রধানতঃ আলোচনা করা হয়েছে। প্রবন্ধে দেখানো হয়েছে যে মৃত্যু (হত্যা বা আত্নহত্যা জনিত ছাড়া অন্যান্য মৃত্যু) একটি ঘটনা নয় বরং এটা একটা প্রক্রিয়া। আধুনিক উন্নত চিকিৎসাপদ্ধতি মৃত্যুকে বিলম্বিত করতে যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা রাখছে যাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু সামাজিক, মনস্তাত্ত্বিক আর্থিক, নৈতিক ও আইনগত সমস্যা। মৃত্যু ও সমাজকাঠামো একে অপরকে প্রভাবিত করে। মৃত্যু একটি পরিবার, সমাজ, এমনকি কারও কারও মৃত্যু একটি জাতিকে নাড়া দেয়। আবার আর্থিক শ্রেণী ভেদে মৃত্যুর ধরণ এবং মৃত্যুর স্থান পরিবর্তিত হয়। মৃত্যুর প্রতি মনোভাব বেশ জটিল এক প্রক্রিয়া। বর্তমানে যদিও মৃত্যুভীতি এবং মৃত্যুকে এড়িয়ে চলাই একটি সাধারণ প্রবণতা তথাপি সমাজবিকাশের বিভিন্ন স্তরে মৃত্যুর প্রতি মনোভাব একই রকম ছিলনা। আধুনিক সমাজে মৃত্যু বাড়ী থেকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়েছে এবং সেখানে এক বিশেষ আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসাও মৃত্যু সংঘটিত হচ্ছে । হাসপাতালে মুমূর্ষ রোগী এবং মৃত-পথযাত্রী রোগীর কাছে আপনজনদের যাওয়া খুবই সীমিত। এ কারণে ইউরোপ ও আমেরিকায় 'হসপাইস আন্দোলন' গড়ে উঠেছে। এর উদ্দেশ্য মৃত্যু পথযাত্রী রোগীর জন্য সর্বাধিক আরাম নিশ্চিত করা, একটি মনোরম পরিবেশে রোগীকে আপনজনদের কাছে থাকতে দেওয়া, বেদনানাশক ড্রাগ দিয়ে অচেতন না করে সর্বোচ্চ মাত্রায় সেবাদান করা। পাশা পাশি অধিক সময় বাঁচিয়ে রাখার বীরোচিত পন্থা পরিহার করে স্বাভাবিক চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া। বস্তুতঃ এ সব উদ্যোগ মৃত্যুর প্রতি পরিবর্তনশীল মনোভাবেরই ফলশ্রুতি।

মূল শব্দ:


Leave a Comment