প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৮ জুলাই ২০১৬

প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৮ জুলাই ২০১৬

উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রবন্ধাবলি

উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রশাসনিক নীতিবিদ্যা: ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও প্রায়োগিক পর্ব

  • গালিব আহসান খান
  • Authors Email:
  • Date of submission :
  • Date of Acceptance :

প্রবন্ধাবলি

প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৮ জুলাই ২০১৬
DOI:
ISSN:

  • Page No : 25-33

সারসংক্ষেপ

ামাদের মাতৃভূমিকে আমরা একটি সুন্দর রাষ্ট্রে পরিণত করব এটাই স্বাভাবিক। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যে আমাদেরকে গড়ে তুলতে হবে রাষ্ট্রের জন্যে একটা সুন্দর কাঠামো, যেখানে দুর্নীতি থাকবে না, অন্যায়-অবিচার থাকবে না। এর জন্যে প্রয়োজন হবে নৈতিক আদর্শকে রাষ্ট্রের প্রশাসন-ব্যবস্থার মধ্যে বাস্তবায়ন করা। এই দৃষ্টিকোণ থেকে এ প্রবন্ধে তুলে ধরা হয়েছে প্রশাসনিক নীতিবিদ্যার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট; দেখানো হয়েছে অতীতে উন্নত বিশ্বের রাষ্ট্রে প্রশাসনিক সংকটকিভাবে সমস্যা তৈরি করেছিল এবং এই সংকট থেকে থক উত্তরণের উত্তরণের জন্য জন্য বিভিন্ন চিন্তাবিদ কিভাবে ভূমিকা রেখেছেন। প্রশাসনিক নীতিবিদ্যা কিভাবে বাস্তবে প্রয়োগ করা হয়েছিল তারচারও একটা জোরালো চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এ প্রবন্ধে। পরিশেষে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের কী করণীয় হতে পারে সে বিষয়েও একটা প্রস্তাব উল্লেখ করা হয়েছে। জ্ঞানের শাখা যেটাই হোক না কেন, জ্ঞানেরর শাখা বলেই এমন শাখার পরিধির মধ্যে কর্মরত একজন ব্যক্তিকে জানতে হবে, নিদেনপক্ষে বুঝতে হবে যে, জ্ঞান বলতে আমরা কী বুঝব বা জ্ঞানের চিন্তা আমআমরা কিভাবে করব। অন্যথায় আমরা হয়তো ভুল বা অনাকাঙ্ক্ষিত কিছুতে জড়িয়ে যাব। এমন ঝুঁকি দূর করারজন্যে জানতে হবে জ্ঞানের মৌলিকদিকগুলো- যা জ্ঞানের যেকোনো ক্ষেত্রেইআবশ্যক বিষয়। জ্ঞানের এমন একটিদিক হলো,যাকেই আমরা জ্ঞান বলে দাবি করব, সেটাকে সত্য হতে হবে হ এবং সে দাবির পক্ষে যুক্তি ও প্রমাণ মা থাব থাকতে হবে। কিন্তু সমস্যাটা হলো, প্রমাণযুক্ত ক্ত ও সত্য চিন্তা ও চর্চা খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হতে পারে, যা বয়ে আনতে পারে মানুষের অমঙ্গল। এমনটা ঘটেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে হিটল হটলারের কার্যক্রমের ক্রম মধ্য মধ্য দিয়েে। জ্ঞানের এমন অপব্যবহার কোনো ক্ষুদ্র ও বিশেষ প্রেক্ষাপটেও ঘটতে পারে সূক্ষ্মভাবে, যা মানুষের জন্যে অকল্যাণকর যদিও তা থেকে যেতে পারে দৃষ্টির অন্তরালে, ওই সূক্ষ্মতার কারণেই। এমন পরিপ্রেক্ষিতের প্রতিরোধের জনে এবং তা বাস্তবায়ন। এভাবেই জ্ঞানের নানা শাখায় গড়ে উঠেঠেছে দার্শনিক মূল্যবোধের দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিশেষভাবে নীতিবিদ্যার দিকটি। প্রশাসনিক নীতিবিদ্যার উন্মেষ ও বিকাশ এভাবেই হেহয়েছে। বিষয়টিকে নানা দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করব আমি। প্রাচীন যুগে দর্শনের উদ্ভবের সময় থেকেই প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য উভয় পরিপ্রেক্ষিতে নীতিবিদ্যা ছিল দর্শনের ন্যতম মূলবিষয়। এর কারণ, দর্শনের আলোচ্য বিষয় হলো জীবন ও জগতের সামগ্রিক পরিপ্রেক্ষিতের মৌলিক বিষয় এবং নীতিবিদ্যার বিষয়বস্তুও সামগ্রিকভাবে জীবনের মৌলি বিষয়- যেমন, ভালো জীবন বা আদর্শ জীবন কী বা ভালো' বলার অর্থ কী, এ ধরনে রনের মৌলিক প্রশ্ন। এভাবেই যুগ যুগ ধরে এসববিষয়ের আলোচনা হয়েছে, যদিও বাস্তবে আমরা এমন আদর্শকে বা ভাভালোকে যথার্থ অর্থে পূর্ণভাবে পাইনি। না পাওয়ার এই শূন্যতার অন্যতম মূল কারণ

মূল শব্দ:


Leave a Comment