প্রবন্ধাবলি

প্রবন্ধাবলি

উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রবন্ধাবলি

উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

হিজড়া জনগোষ্ঠীর প্রথাগত রাজনতৈকি ব্যবস্থা ও পরর্বিতন: একটি নৃবজ্ঞৈানকি বিশ্লেষণ

  • ড. মো. ফারুক শাহ এবং ফাল্গুনী হালদার
  • Authors Email:
  • Published Date : 21 September, 2024

প্রবন্ধাবলি

প্রবন্ধাবলি, খণ্ড 12, জুলাই 2020
DOI: https://doi.org/10.59146/PBDHV12A1
ISSN:

  • Page No :

সারসংক্ষেপ

হিজড়া জনগোষ্ঠী বৃহত্তর সমাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই জনগোষ্ঠীর প্রথাগত রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও তার পরিবর্তন সম্পর্কে তুলে ধরাই বর্তমান প্রবন্ধের মূল উদ্দেশ্য। গবেষণাটি মূলত গুণগত প্রকৃতির। তবে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের আলোকে বর্তমান গবেষণাকর্মটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় উৎসের উপাত্তের সমন্বয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। গবেষণালব্ধ ফলাফল অনুযায়ী, একজন শিশুর বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হিজড়াদের ন্যায় বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হলে সেই হিজড়া শিশুটির প্রতি পারিবারিক ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়। ফলে শিশুটি পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে একজন গুরুমায়ের (হিজড়া জনগোষ্ঠীর পরিবার প্রধান) অধীনে হিজড়া সমাজের অন্তর্ভুক্ত হয় ও বসবাস শুরু করেন। সেই স্বতন্ত্র সমাজ ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রথাগত রাজনৈতিক ব্যবস্থা যা মূলত দারাজনী, গুরুমা ও শিষ্য/চ্যালার সমন্বয়ে গঠিত। এই রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ‘দারাজনী’ হলেন সকলের প্রধান এবং ‘গুরুমা’ হলেন শিষ্যদের প্রধান। অর্থাৎ গুরুমা হলেন শিষ্য হিজড়াদের প্রথাগত রাজনৈতিক অভিভাবক। শিষ্যরা মূলত গুরুমাকে অভিভাবক/পিতৃ তুল্য/মাতৃতুল্য হিসেবে মান্য করে থাকেন। হিজড়া সমাজে তিনিই মূলত সকল সমস্যা দেখাশোনা করেন। তবে গুরুমা ও শিষ্যর মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক থাকলেও অনেক সময় তাঁদের মধ্যে দ্ব›দ্ব দেখা যায়। শিষ্যদের মধ্যে দ্ব›দ্ব হলে গুরুমা নিজেই সমাধান করেন। কিন্তু তা জটিল হলে দারাজনী তাঁর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মাধ্যমে নিরসন করেন। তবে বর্তমানে তাঁদের হিজড়া লিঙ্গের স্বীকৃতি পাওয়ায় তাঁরা প্রথাগত রাজনীতির পরিবর্তন ও বৃহত্তর রাজনৈতিক ব্যবস্থায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এই স্বীকৃতির ফলে তাঁরা ভোটাধিকার, জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকায় হিজড়া লিঙ্গ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বৃহত্তর রাজনীতিতে তাঁদের অংশগ্রহণের সুযোগ সম্প্রসারিত হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয়

মূল শব্দ:

হিজড়া জনগোষ্ঠী, প্রথাগত রাজনৈতিক ব্যবস্থা, হিজড়া লিঙ্গের স্বীকৃতি, ক্ষমতায়ন।