প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৭
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রবন্ধাবলি
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সরকারী ঋণ মুদ্রাসরবরাহ এবং মূল্যস্তর পরিবর্তনে মুখ্য উপাদান : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ
প্রবন্ধাবলি
প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৭
DOI:
ISSN:
সারসংক্ষেপ
পিছনের কথা
এখন থেকে প্রায় বিশ বৎসর পর্বে আধনিক মদ্রাতত্ববিদদের নেতা নবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ মিলটন ফ্রিডম্যান বলে- ছিলেন, উন্নত দেশের জন্য সর্বোত্তম নীতি হলো মংদ্রাকে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখা এবং সেজন্য তিনি মদ্রার সম্প্রসারনকে স্থিরগতিতে বাড়াতে বলেছিলেন, তাঁর মতে এ স্থির- গতি হচ্ছে বৎসরে ৩ থেকে ৫ শতাংশ। তিনি মন্দ্রো বাড়ানো কমানোর মাধ্যমে কোন রকম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হাসিল, কিংবা পর্ন নিয়োগ মাত্রা অর্জনের বিরোধিতা করেছিলেন। ৩ অনন্নত দেশের জন্য তিনি মতামত ব্যক্ত করেছিলেন যে, অনন্নত দেশের জন্য সর্বোত্তম নীতি হবে অন্য বৃহৎ কোন স্থিতিশীল দেশের মুদ্রার সংগে নিজের মদ্রাকে বেধে দেয়া যার সংগে এর অর্থনৈতিক নৈকট্য-সম্পর্ক বেড়েছে। তবে তাঁর মতে দ্বিতীয় সর্বোত্তম নীতি হবে অননুন্নত দেশের জন্যও উন্নত দেশের ন্যায় একটি স্থিতিশীল (steady ) মানীতি অনুসরণ করা, তা না হলে অর্থনীতিকে অনিশ্চয়তা এবং মদ্রাস্ফীতির মাঝে ঠেলে দেয়া হবে।
মিলটন ফিডম্যানের এ বক্তব্য এসেছিলো তখন যখন পৃথিবীময় যুদ্ধোত্তর সময়ে কিনসীয় মতবাদের জোয়ার বয়ে যাচ্ছিলো। প্রায় সব তরণে অর্থনীতিবিদই তখন কিনসীয় ধারায় উদ্দিপ্ত এবং উধবদ্ধ ।
কিনসের সাফল্যকে খাটো করে দেখার উপায় ছিলো না, যুদ্ধ পর্বে সময়ে ১৯৩০ দশকের দীর্ঘমেয়াদী মন্দায় পশ্চিমা জগত, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যখন হাব, ডুব, খাচ্ছিলো তখনই পেশ করা হয়েছিলো তাঁর নতুন ধারণা এবং বিশ্লেষণ যা অনেকের মতে মন্দাকে কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেছিলো। যুদ্ধে পর সময়ে কিনসীয় ধারণা ও বিশ্লেষণ-