সামাজিক-বিজ্ঞান-গবেষণাঃ-পদ্ধতি-ও-প্রক্রিয়া

সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষণা পদ্ধতি

উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্ৰ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া

সমাজ বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন : পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপট

  • মুহম্মদ শামসউল হক
  • Authors Email:
  • Date of submission:
  • Date of Acceptance:

সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষণা পদ্ধতি

DOI:
ISSN :

  • Page No : 175-184

ভূমিকা

পৃথক একটি জ্ঞানের ক্ষেত্র হিসাবে সমাজ বিজ্ঞান তুলনামূলকভাবে নবীন সমাজবিজ্ঞানের পরিমন্ডল ব্যক্তি ও সমাজ জীবনকে কেন্দ্র করে গঠিত। জ্ঞান ও গবেষণার অগ্রগতির ফলে সমাজবিজ্ঞান বহু শাখা ও উপশাখায় ব্যাপৃত। এদের মধ্যে প্রধান হলো সমাজতত্ব (সোসিওলজি), সমাজসেবা ও সমাজকল্যাণ (সোস্যাল ওয়ার্ক ও সোস্যাল ওয়েলফেয়ার), নৃতত্ত্ব, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান, শিক্ষাবিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল, বাণিজ্য, ব্যবস্থাপনা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আইন, জনসংখ্যাতত্ত্ব ইত্যাদি। এই শাখাগুলির প্রকৃত সংখ্যা এবং নামকরণ স্বভাবতই গবেষণালব্ধ বিশেষ জ্ঞানের প্রসারের উপর নির্ভরশীল। এ প্রসংগে এটা অবশ্য মনে রাখতে হবে যে, অধ্যয়ন ও গবেষণার সুবিধার জন্য এই বিভাগগুলি পৃথক করা হলেও, এরা এমনি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত এবং একে অপরের পরিপূরক যে, ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের উপর এদের প্রভাব সামগ্রিক এবং অবিচ্ছেদ্য। সম্প্রতিকালে এসব ক্ষেত্রে গবেষণার যথেষ্ট উন্নয়ন ও অগ্রগতি হয়েছে এবং ক্রমবর্ধমানভাবে বিশ্লেষণ ও পরিমাপ উন্নততর ও তীক্ষ্ণতর হয়েছে।
বিগত দু' শতাব্দীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার অভুতপূর্ব অগ্রগতির ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতটা সমৃদ্ধ হয়েছে সেই তুলনায় মানুষের মন, মানসিকতা ও সমাজ জীবন সম্পর্কে জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। শিল্পোন্নত দেশগুলিতে বিরাজমান অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতি এবং সামাজিক ও নৈতিক সমস্যা তার একটি সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত এবং সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণাকে আরও শক্তিশালী করা যে অপরিহার্য তারও একটি জোরালো প্রমাণ। উন্নয়নশীল দেশগুলির জটিলতর সমস্যার প্রেক্ষাপটে এরূপ গবেষণার ভূমিকা নিঃসন্দেহে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক যুগে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে আপামর জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে অনেক দেশ অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে।

Keywords:


Leave a Comment