সামাজিক-বিজ্ঞান-গবেষণাঃ-পদ্ধতি-ও-প্রক্রিয়া

সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষণা পদ্ধতি

উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্ৰ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া

বিশ্লেষণধর্মী ঐতিহাসিক নিবন্ধ রচনা নীতি ও পদ্ধতি

  • সিরাজুল ইসলাম
  • Authors Email:
  • Date of submission:
  • Date of Acceptance:

সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষণা পদ্ধতি

DOI:
ISSN :

  • Page No : 185-195

ভূমিকা

জ্ঞানের যেকোন শাখায়, তা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আইন বা ভূগোল যে বিষয়ই হোক না কেন, একটি সন্দর্ভ বা গবেষণামূলক নিবন্ধ রচনা করতে হলে তা মূল বিষয়ের নির্ধারিত পরিপ্রেক্ষিতে রচনা করা অপরিহার্য। সকল বিষয়ের ক্ষেত্রেই এ নীতি প্রযোজ্য। যেমন, সমাজতাত্ত্বিক বিষয়ে নিবন্ধ রচনা করতে হবে সমাজতত্ত্বেরই বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতে, ইতিহাস বিষয়ে নিবন্ধ রচনা করতে হবে ইতিহাসেরই নির্ধারিত পরিপ্রেক্ষিতে, ইত্যাদি। কথাটি স্পষ্ট বোধগম্য হলেও একজন অনভিজ্ঞ প্রতিবেদক তা প্রায়শ ভুলে যান এবং তাঁর কি বলতে হবে এবং কিভাবে বলতে হবে তা স্থির করতে গিয়ে তিনি অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ান। তা হলে ‘পরিপ্রেক্ষিত' বলতে কি বুঝবো? একজন শিল্পী এর সঙ্গে বেশী পরিচিত। কারণ তিনি তাঁর শিল্পকর্ম শুরু করার পূর্বেই তাঁর পরিপ্রেক্ষিতটি স্পষ্টভাবে স্থির করেন। শিক্ষার বৃহত্তর পরিসরে প্রত্যেকটি বিষয়েরই পৃথক পৃথক পরিপ্রেক্ষিত রয়েছে এবং তা জানার বা বোঝার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একজন বিদগ্ধ ও বিশিষ্ট লেখকের রচনা পাঠ করা। আর্নোন্ড টয়েনবি তাঁর স্মৃতিকথায় লিখেছেন যে, তিনি ইতিহাস বিষয়ে তাঁর পরিপ্রেক্ষিত নির্ধারণ করেছেন কিছু কালজয়ী রচনা পাঠ করে। একবার ইতালীতে অবসর যাপনকালে এক রাতে তিনি মনে মনে তাঁর পরিপ্রেক্ষিতের একটি রূপরেখা তৈরি করেন এবং তিনি এ রূপকল্পকে বাস্তব রূপদান করেন পরবর্তী ত্রিশ বছরে। এরকম বড়ো লেখক আরো অনেক আছেন, যাঁরা কেবল পরিপ্রেক্ষিত তৈরি করতে বছরের পর বছর সময় নিয়েছেন। তাঁদের মতে, সবচেয়ে বড়ো কাজটি হচ্ছে দৃশ্যপট তৈরি করা। এর পর বাকী থাকে সামান্য শ্রম ও সময় ব্যয় করে তা উপস্থাপন ও সমাপ্ত করার কাজ। পদ্ধতির (technique) দিক দিয়ে এক লেখক থেকে অন্য লেখক এবং এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ের ভিন্নতা রযেছে। ঐতিহাসিক পদ্ধতিও তাই অন্য বিষয়ের পদ্ধতি থেকে স্পষ্টভাবে ভিন্ন। যদিও ইতিহাসপ্রচনার ক্ষেত্রে অবিমিশ্র বিজ্ঞানের

Keywords:


Leave a Comment