প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৩ আগষ্ট ১৯৯২
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রবন্ধাবলি
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীঃ সাংবিধানিকতা ও গণতন্ত্রের প্রশ্ন
প্রবন্ধাবলি
প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৩ আগষ্ট ১৯৯২
DOI:
ISSN:
সারসংক্ষেপ
১৯৭২ সালের মূল বাংলাদেশ সংবিধান এবং এর সংশোধনীগুলো নিয়ে বিশেষ উল্লেখযোগ্য গবেষণাধর্মী আলোচনা আজ অবধি লক্ষণীয় নয়। ১ এই সংবিধানকে এর দ্বিতীয় সংশোধনীর প্রেক্ষাপটে স্থাপন করে পুরো রাষ্ট্র কাঠামো ও রাজনীতিক ব্যবস্থার পরিমণ্ডলে সাংবিধানিকতা ও গণতন্ত্রের প্রশ্ন উত্থাপনপূর্বক বিশ্লেষণধর্মী সামগ্রিক আলোচনার সূত্রপাত করাই হচ্ছে বর্তমান প্রবন্ধের উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের আরাধ্য সাংবিধানিকতা ও গণতন্ত্র ১৯৭৩ সালে কৃত বাংলাদেশ সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে কিভাবে সকল মাত্রায়, সার্বিকভাবে বিপর্যন্ত হয়েছে, কিভাবে তা অসাংবিধানিকতা, অধিকারহীনতা, ও গণতন্ত্রহীনতাকে নিষ্ঠুরতম বাস্তবতায় পরিণত করেছে, কিভাবে তা বিদ্যমান শোষণভিত্তিক, অসম, ঊনজন-নির্ভর আর্থনীতিক কাঠামোর অধিকতর টিকে থাকার ও জঙ্গমতার অনুকূলে গেছে, কিভাবে তা পরবর্তীতে গণবিচ্ছিন্ন সামরিক আমলাতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, লুটেরা পুঁজি ও নয়া ঔপনিবেশিক আধিপত্যের ত্রিচক্রাধীন নিয়ন্ত্রণ পরিমণ্ডলকে স্থিতি দিয়েছে এবং কার্যত সংকীর্ণ রাজনীতিক স্বার্থের সহযোগে অসাংবিধানিক গ্যারিসন কন্সটিটুয়েন্সির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ শাসনকে বা এর ওপর নির্ভরতাকে বজায় রাখছে, সেই সত্য বেশ কিছু মূল ও প্রাথমিক ডকুমেন্টের ভিত্তিতে তুলে ধরা হয়েছে বর্তমান প্রবন্ধে। রাষ্ট্র, রাজনীতি, সংবিধান, সরকার, প্রশাসন, শ্রেণী স্বার্থ, ধর্ম-ব্যবসা, আন্তর্জাতিক পুঁজির আধিপত্য, সামরিক বাহিনীর কর্পোরেট স্বার্থ, এসবের উল্টোধারায় জনগণের সংগ্রাম ইত্যাদি পরস্পর প্রবিষ্টতা ও পরস্পর নির্ভরতার বহুমাত্রিক বাস্তবতায় বাংলাদেশ সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীর ভিত্তিতে দেশে সাংবিধানিকতা ও গণতন্ত্রের প্রশ্ন বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখাই আলোচ্য প্রবন্ধের প্রতিপাদ্য নির্মাণ করেছে।