সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষণা পদ্ধতি
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্ৰ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া
বাংলাদেশে গণতন্ত্র : গবেষকের দৃষ্টিকোণ গবেষণার লক্ষ্য
সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষণা পদ্ধতি
DOI:
ISSN :
ভূমিকা
অজানাকে জানা, অচেনাকে সঠিকভাবে চেনাই গবেষকের মূল লক্ষ্য। বিদ্যমান জ্ঞানভান্ডারে কিঞ্চিৎ হলেও সংযোজন করার লক্ষ্যেই গবেষণা। যা জানি তাকে আরো ভালভাবে জানা, যা জানি না তার চারপাশ থেকে জমাট বাঁধা অন্ধকারের দেয়ালটাকে সরিয়ে আলোর পথকে সহজ করার লক্ষ্যে আমরা গবেষণার শত বাতায়ন উন্মুক্ত করি। বিভ্রান্তির জটিল জালে কোন বিষয় জড়িয়ে পড়লে তার নিরসন, ভুল তথ্যের আবরণে ঢাকা পড়লে তার উন্মোচনও এর অন্তর্গত। এসব কারণে সামাজিক প্রক্রিয়া হিসেবে গবেষণা এতো গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণ করে গবেষক সংগ্রহ করেন রাশি রাশি উপাত্ত। তারই ভিত্তিতে রচনা করেন তত্ত্ব। ব্যাখ্যা দানে, কোন কোন সময় সামাজিক দিক নির্দেশে, তত্ত্বভিত্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষক সমৃদ্ধ করেন তাঁর ক্ষেত্র। সামাজিক সমস্যার গভীর অরণ্যে তাই দক্ষ শিকারীর মতো সার্থক গবেষকের অবদান তাৎপর্যপূর্ণ।
গবেষক খোঁজেন উপাত্ত, নির্ভরযোগ্য এবং বাস্তবভিত্তিক রাশি রাশি উপাত্ত। সংগৃহীত উপাত্তের মাধ্যমে তিনি তাঁর অনুমানকে (hypothesis) প্রমাণ করেন। তাঁর অনুমান প্রমাণিত না হলে নতুনভাবে অনুমান সংগঠন করে আবারো শুরু করেন যাত্রা। এমনি সব উপাত্তের দিকে তার দৃষ্টি যা প্রমাণ করা সম্ভব। নিজের আবেগ, মানসিক প্রবণতা, ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের রঙীন চশমা খুলে ফেলে তাঁকে তাকাতে হয় বাস্তবতাভিত্তিক, প্রমাণযোগ্য, কঠিন উপাত্তের দিকে।
এদিক থেকে বলা যায়, গবেষণা হলো সীমাহীন সমুদ্রে একধরনের অভিযাত্রা। সে সমুদ্রে গবেষক নিঃসঙ্গ নাবিক। বুকে তার অন্তহীন সাহস। চোখে অযুত সূর্যের দৃষ্টি। মন্থন করে চলেছেন চারদিক। লক্ষ্য তাঁর সীমাহীন জলরাশির ওপারে নতুন এক পৃথিবীর আবিষ্কার। চারদিকে অন্ধবার - অনিশ্চয়তায় ভরা। শুধু ভরসা, বিজ্ঞানসম্মত সুনির্দিষ্ট