প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৭
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রবন্ধাবলি
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের নারীদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান: একটি বিশ্লেষণ
প্রবন্ধাবলি
প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৭
DOI:
ISSN:
সারসংক্ষেপ
আধুনিককালে সমাজ স্বাতন্ত্রের পরিসরে বিশ্বব্যাপী নারীরা অধস্তন । এই অধস্তন অবস্থার মূল ভিত্তি পিতৃতান্ত্রিকতা। পিতৃতান্ত্রিক পারিবারিক ও সামাজিক কাঠামোর পরেষ অর্জন করেছে পরিবারের কর্তৃক ও উৎপাদন প্রক্রিয়ার মূল চালিকা শক্তি; নারী পরিণত হয়েছে গৌণ ভূমিকায় - সন্তান জন্ম ও প্রতিপালন এবং উৎপাদন বিচ্ছিন্নতার জন্যে। মূলতঃ পিতৃতান্ত্রিক পারিবারিক কাঠামোর মধ্যেকার লিঙ্গভিত্তিক শ্রম বিভাজন নারীদের অধস্তন করে তোলে। পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে আবার ধর্মীর উত্তরাধিকার আইন নারীদেরকে সম অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। ফলে নারীদের মর্যাদা কমে যায়। পিতৃতন্ত্র ও ধর্মীয় বিধান যুক্তভাবে সামন্ত- যযুগের নারীদের পরিণত করেছিলো ভোগের বস্তুতে। কিন্তু পংজিবাদ নারীদেরকে পণ্যে পরিণত করে। পংজিবাদী রাষ্ট্র পিতৃতন্ত্র, শ্রম বিভাজন ও ধর্মে'র আইনগত অধিকারের বিধানকে টিকিয়ে রাখে। ফলে রাষ্ট্রিক পরিসরে নারীর অধিকারের প্রশ্নটি সংকীর্ণ হয়ে ওঠে। এই অবস্থার পরিবর্তন সাধনের প্রশ্নে উদারনীতিক ও গোঁড়া মার্কসবাদীদের ধারনায় ভিন্নতা থাকলেও উভয় স্কুলই পংজিবাদের বিকাশের সূত্রের মধ্যে নারী মুক্তির সম্ভাবনা চিহ্নিত করেছে। উদারনৈতিক নারীবাদীরা মনে করেন যে, আইনান পদ্ধতি ও মনোভঙ্গি পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে পিতৃতন্ত্রের বর্তমান শৃংখল ভেঙ্গে ফেলা যাবে। তাঁদের মতে, ভোটাধিকার, সম- অধিকারের আইন, ইতিবাচক কাজ এবং মনোভঙ্গি পরিবর্তনের রণকৌশল যেমন স্বাধিকার, প্রশিক্ষণ এবং সিদ্ধির মনোভাব তৈরীকরণই যথার্থ " ও কার্যকর উপাদান। এক্ষেত্রে গোঁড়া মার্কসবাদীদের ব্যাখ্যার ভিন্নতা অবশ্য সস্পষ্ট। মার্কসবাদীদের মতে, পংজিবাদের বিকাশের নিয়ম- গুলো নারী-পরুষ উভয়কে মজুরী শ্রমিকে পরিণত করে পাজির শাসনা-