প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৫ ডিসেম্বর ২০০৪
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রবন্ধাবলি
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের অভ্যুদয়পর্বে জাতিসংঘের ভূমিকাঃ মুক্তাঞ্চলের তিনটি পত্রিকার
প্রবন্ধাবলি
প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৫ ডিসেম্বর ২০০৪
DOI:
ISSN:
সারসংক্ষেপ
১৯৭১ সনে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সময় জাতিসংঘ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত সমকালীন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মতামত বিশেষত বৃহৎ শক্তিগুলোর মেরুকরণ, গণমাধ্যম ও বিশ্বজনমতের ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে জাতিসংঘের ভূমিকা নির্ধারিত হয়। ১৯৭১-এ বাংলাদেশ প্রশ্নেও এর ব্যতিক্রম ঘটে নি। দক্ষিণ এশিয়ার এই মানবিক ও রাজনৈতিক সংকটে জাতিসংঘের ভূমিকা ছিল বিতর্কিত, দ্বন্দ্বমূলক ও সাফল্য ব্যর্থতায় পরিপূর্ণ। বিতর্কিত এ কারণে যে, সে সময় উদার গণতন্ত্রী দেশসমূহের মানুষ এবং সমাজতন্ত্রী বলয়ের জনগণ ও রাষ্ট্রসমূহ মনে করেছিল যে, গণহত্যা বন্ধ এবং শরণার্থীদের ভারত গমনের স্রোত বন্ধে জাতিসংঘ নিষ্ক্রিয় ও ব্যর্থ। দ্বন্দ্বমূলক এ কারণে যে, সংস্থাটির কিছু আইনগত কারণে এবং বৃহৎ শক্তি বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তান ঘেঁষা নীতির কারণে স্বীয় কর্তব্য নির্ধারণে দ্বিধান্বিত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রসহ মুসলিম বিশ্ব, চীন ও এদের মিত্র দেশের সরকারগুলি (প্রধানত আফ্রিকা) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে। তখন ভারত আন্তর্জাতিক বিশ্বে দুর্বল অবস্থানে ছিল এবং একমাত্র সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব ইউরোপের দেশসমূহ ব্যতীত ঐ দেশের বন্ধু রাষ্ট্রের সংখ্যা ছিল স্বল্প। উক্ত অবস্থার প্রতিফলন ঘটেছে জাতিসংঘের ভূমিকায় এবং এ সংস্থার ব্যর্থতার বিশ্লেষণে এ সব কার্যকারণ গুরুত্বসহ বিবেচিত হয়। তবে শরণার্থী সমস্যাজনিত মানবিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতিসংঘের উদ্যোগ ইতিবাচক ছিল।' অবরুদ্ধ ঢাকা ও বাংলাদেশের অন্যান্য শহর থেকে প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যম বিশেষ পত্র-পত্রিকা জাতিসংঘের ভূমিকা বিষয়ে তেমন কিছু প্রকাশ না করলেও মুজিবনগর থেকে প্রকাশিত পত্রিকাগুলি জাতিসংঘের ভূমিকা সম্পর্কে বিভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এইদিকটি এখনো স্বল্প আলোচিত ও অবহেলিত। বর্তমান প্রবন্ধে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করা হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যখন সমগ্র বাংলাদেশ পাকিস্তানী সামরিক জান্তার দখলে চলে যায়, তখন রাজধানী ঢাকা এবং অন্যান্য স্থান থেকে প্রকাশিত অনেক বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকা বন্ধ হয়ে যায়। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে ইত্তেফাকসহ