প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৯ জুলাই ২০১৭
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রবন্ধাবলি
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রাচীন সাহিত্যে পরিবেশ-ভাবনা ও বর্তমান সময়ের প্রাসঙ্গিকতা
প্রবন্ধাবলি
প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৯ জুলাই ২০১৭
DOI:
ISSN:
সারসংক্ষেপ
বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ বিপন্ন ও বিধ্বস্ত হয়ে উঠেছে মানুষের অতিমাত্রার প্রয়োজন, সীমাহীন লোভ, অজ্ঞতা আর অপরিণামদর্শিতার কারণে। এ কথা সত্য যে, পরিবেশই মানুষকে রক্ষা করে। কিন্তু অনেকেই পরিবেশের এই উপযোগিতাকে মূল্যায়ন করে না। পরিবেশের প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়ে তারা স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে। যার ফলে প্রভাবশালী অনেক দেশ আত্মকেন্দ্রিক চিন্তাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে ভুলে যায় পরিবেশের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ। তারা পরিবেশ-বিধ্বংসী পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। ফলে বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশ হয়ে উঠেছে ভারসাম্যহীন। জলবায়ুও ক্রমাগত হয়ে উঠছে রুগ্ন, খেয়ালি ও বৈরী এবং রুদ্র-রুক্ষ-প্রলয়ংকরী। মানুষসহ সমগ্র প্রাণিজগতে এর ভয়ঙ্কর প্রভাব চরম আকারে লক্ষণীয়। মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে নানারকম অস্বাচ্ছন্দ্য ভোগ করছে। মানুষের তৈরি এই অসুস্থ ও দূষিত পরিবেশকে কীভাবে সুস্থ করা যায়, তা নিয়ে সচেতন মানুষের ভাবনার অন্ত নেই। সেই সুপ্রাচীন কাল থেকে ভারতবর্ষের সচেতন পরিবেশবাদীরা পরিবেশকে কোন দৃষ্টিতে দেখেছেন এবং পরিবেশকে সুস্থ রাখার জন্য তাঁদের চিন্তা-চেতনা কেমন ছিল, তার প্রমাণ পাওয়া যায় বৈদিক ও সংস্কৃত সাহিত্যে। প্রাচীন ভারতে প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি সকল মানুষের একটা সযত্ন স্নেহার্দ্র হৃদয় ছিল। কোনোভাবেই তাঁরা প্রকৃতির প্রতি স্বেচ্ছাচারী ছিলেন না। বৈদিক ও সংস্কৃত সাহিত্যকে এখানে প্রাচীন সাহিত্য বলা হয়েছে। এই প্রাচীন সাহিত্যে উল্লেখিত প্রাচীন ভারতের পরিবেশবাদীদের পরিবেশভাবনা এবং বর্তমান বিশ্বে তাদের এই ভাবনাগুলি কতটা প্রাসঙ্গিক ও সবার জন্য উপযোগী- তা বর্তমান প্রবন্ধে তুলে ধরার সযত্ন প্রয়াস চালানো হয়েছে।