
প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ১১ জুলাই ২০১৯
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রবন্ধাবলি
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ধর্মনিরপেক্ষতার স্বরূপ ও বাস্তবতা: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ
প্রবন্ধাবলি
প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ১১ জুলাই ২০১৯
DOI:
ISSN:
সারসংক্ষেপ
ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের সমার্থক হলো যুক্তিবাদ, বিজ্ঞানবাদ এবং মনুষ্যত্ববাদ। পাশ্চাত্যে এই ধারণার উদ্ভব ঘটলেও দক্ষিণ এশিয়া তথা বাংলা অঞ্চলে এ ধারায় চর্চা সুপ্রাচীন। হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির মূলসুর ছিল মনুষ্যত্ববাদ, যেখানে দ্বিধাহীনচিত্তে উচ্চারণ করা হয়েছিল 'সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই'। দীর্ঘদিনের বিদেশী শাসন, বঞ্চনা এবং আন্তঃরাষ্ট্রিক উপনিবেশ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যখন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়, তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেন ধর্মনিরপেক্ষতাকে। কিন্তু তাঁর এ ধর্মনিরপেক্ষতা পাশ্চাত্যের ধর্মবিযুক্ততার সমর্থক না হয়ে প্রাচ্যদেশী ধর্মীয় সমন্বয়কে সমর্থন করেছিল। তিনি ধর্মকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। বর্তমান বাংলাদেশের বাস্তবতায় সেউদ্দেশ্য কতটুকু পূরণ হয়েছে, তা একটি জটিল প্রশ্ন। আলোচ্য প্রবন্ধে ধর্মনিরপেক্ষতার পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যদেশীয় (দক্ষিণ এশীয়) স্বরূপ কী, বাংলাদেশ কোন প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতায় ধর্মনিরপেক্ষতাকে নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিল, দীর্ঘদিনের সামরিক শাসনে রাজনীতিতে ধর্মের যথেষ্ট ব্যবহারের ফলে যে বাস্তবতা দাঁড়িয়েছে, তাতে করে বর্তমান সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও রাষ্ট্রধর্ম একই সাথে স্থান করে নেয়ায় ধর্মনিরপেক্ষ নীতির যৌক্তিকতা ও ভবিষ্যৎ কী, তা খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।
মূল শব্দ:
ধর্মনিরপেক্ষতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ধর্মীয় রাজনীতি, বাংলাদেশ।