
প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৪ জুন ১৯৯৯
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রবন্ধাবলি
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইসলাম
প্রবন্ধাবলি
প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৪ জুন ১৯৯৯
DOI:
ISSN:
সারসংক্ষেপ
দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ায় জনগোষ্ঠীর মাঝে ইসলাম ধর্ম ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত। অত্র অঞ্চলে ইসলামের বিস্তার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ৭ম শতাব্দীতে আরব উপদ্বীপে ইসলামের আবির্ভাব হলেও পরবর্তী এক শতাব্দীর মধ্যে ক্রমান্বয়ে তা সমগ্র এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে মুসলমানদের ধর্ম প্রচার ও বিজয়াভিযানের মাধ্যমে। কিন্তু সাহাবী যুগেই দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ায় ইসলামের অনুঃপ্রবেশ ঘটেছিলো বিজয়াভিযান নয় বণিকদের মাধ্যমে। আরব, পারসিক, গুজরাটি বণিকরা এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে শুধু বণিক নয় অত্র অঞ্চলে মুসলিম বণিক রাষ্ট্রের উত্থান, ক্যাথলিক খৃষ্টানদের আগমনে মুসলমানদের সাথে প্রতিযোগিতা এবং সুফী, আলেমদের ধর্ম প্রচারে নিষ্ঠা, একাগ্রতা, ত্যাগী ভূমিকার ফলে ইসলাম দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার জনগণের মাঝে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে স্থান করে নেয়। ইসলামের আগমনের পূর্বে দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় চীনা ভারতীয় সংস্কৃতির এবং বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মের প্রভাবে প্রভাবান্বিত ছিল। উক্ত ধর্ম দুটি নানা কুসংস্কারে জড়িত ছিল বিধায় জনগোষ্ঠীর আশা আকাঙ্ক্ষা পূরনে ব্যর্থ হয়। ফলে ইসলাম ধর্মের সত্য, ন্যায়ের বাণী, সহজ সরল জীবন পদ্ধতি এ অঞ্চলের মানুষের নিকট জনপ্রিয় হয়। বণিকদের মাধ্যমে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ইসলামের সূচনা হলেও সময় কাল ও কোন অঞ্চলের বণিকদের মাধমে তা শুরু হয়— এই নিয়ে ঐতিহাসিকদের নিকট যে মত পার্থক্য আছে তা নিরসনের প্রচেষ্টা এবং ইসলাম পূর্ব যুগের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র ব্যবস্থা, বণিক ছাড়া ইসলাম প্রচারে অন্যান্যদের ভূমিকা, ইসলামের দ্রুত সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়তার কারণ সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে। তা ছাড়া ইসলাম বিস্তারের সময়কাল নির্ধারণের কয়েকজন পর্যটক, ঐতিহাসিকদের বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। কোন কোন লেখক গবেষক মনে করেন দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ায় ইসলাম বিস্তারে একক ভাবে বণিকদের ভূমিকাই অগ্রগণ্য, এ ধারনা যে সঠিক নয় তা যুক্তি দিয়ে তুলে ধরাই এ প্রবন্ধের প্রধান বিষয়বস্তু ।