
প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৬ আগষ্ট ২০১০
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রবন্ধাবলি
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামে বিচার ব্যবস্থার প্রকৃতি: একটি পর্যালোচনা
প্রবন্ধাবলি
প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ৬ আগষ্ট ২০১০
DOI:
ISSN:
সারসংক্ষেপ
মানুষ সামাজিক জীব। সামাজিকভাবে জীবন ধারনের ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রয়োজনে মানুষ একে অন্যের উপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা থেকে আসে পরস্পর সহযোগিতা ও সহাবস্থানের বিষয়। ফলে সমগ্র মানব মন্ডলী বৃহত্তর অর্থে একটি সমাজেবসবাস করছে। আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা সেসমাজেরই একটা অংশ মাত্র। এই সামাজিক ব্যবস্থাকে সুন্দর ভাবে পরিচালিত করার জন্য প্রয়োজন কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুনের । এক্ষেত্রে বিশেষতঃ বিচার ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুবিচার যে কোন সমাজে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত। সুবিচচার ছাড়া মানবাধিকার প্রহসনে পরিণত হয়। সুবিচারের জন্য আবার নিরপেক্ষ, সুষম আইন ও আইনের যথাযথ যথ প্রয়োগের সুষ্ঠু ব্যবস্থা অপরিহার্য। মানব রচিত আইনে এবং ধর্মনিরপেক্ষ প্রায়োগিক ব্যবস্থায় তা সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক আদালত বা জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যর্থতাই তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। ইসলামী আইন ও বিচার ব্যবস্থা আল্লাহ প্রদত্ত, তাই এটা সন্দেহাতীতভাবে নিরপেক্ষ, সুষম ও সুবিচারপূর্ণ। এরপ্রায়োগিক ব্যবস্থা নৈতিকতার (যেটাকে ইসলামের পরিভাষায় ঈমান, আমল ও আখিরাতের প্রতিবিশ্বাস বলা হয়) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই এর প্রায়োগিক সুষ্ঠুতাও প্রশ্নাতীত। ইসলামী আইন ও বিচার-ব্যবস্থা সম্পর্কে আল্লাহর ঘোষনাঃ'বিধান দেয়ার অধিকার একমাত্র আল্লাহর।” [সুরা ইউসুফঃ৪০] কিন্তু এক শ্রেণীর মানুষ না জেনে মিথ্যা প্রচারনা চালাচ্ছে যে, ইসলাম প্রবর্তিত আইন হচ্ছে বর্বর, নির্দয়, কঠোর ও অমানবিক। অথচ ইসলাম প্রবর্তিত আইন ও বিচার ব্যবস্থাই দিতে পারে সকল মানুষের জীবন ও নিরাপত্তার একমাত্র গ্যারান্টি। যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই ঠিক করে দিতে পারেন মানুষের জীবনের সার্বিক মুলনীতি। আল্লাহর কিতাব আল কুরআন ও মহানবীর সা. সুন্নাহতে বর্ণিত সু-সামজ্ঞস্যপূর্ণ বিচার ব্যবস্থাই দিতে পারে সঠিক বিচারের গ্যারান্টি। আজ থেকে প্রায় পনেরশত বছর পূর্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল মহানবী সা. সকল বৈষয়িক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বিচার ব্যবস্থায় আদর্শকেও মানব জাতির সামনে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। সেটা যেমন নিখুত, ভারসাম্যপূর্ণ ও সর্বশ্রেনীর মানুষের জন্য কল্যাণকর তেমনি স্রষ্টার সাথেসৃষ্টির,মানুষের সাথে মানুষের, ইহকালের সাথে পরকালের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ককে সামজ্ঞস্যশীল ও গভীর তাৎপর্যে পরম মহিমান্বিত করে তোলে।