প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ২ জুলাই, ১৯৮৯
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রবন্ধাবলি
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অপসংস্কৃতি ও সংস্কৃতি : অবক্ষয় ও উজ্জীবন
প্রবন্ধাবলি
প্রবন্ধাবলি, খণ্ড: ২ জুলাই, ১৯৮৯
DOI:
ISSN:
সারসংক্ষেপ
অপসংস্কৃতি' কথাটি প্রথম কে, কোথায় কখন, কেন, কি অর্থে ব্যবহার করেছিলেন আমরা জানি না, তবে ঢাকায় সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্রের পৃষ্ঠায় এই শব্দটি আমরা প্রথম দেখি ১৯৭০-এর দশকে—একই সময়ে শব্দটিকে আমরা ঘণ ঘণ উচ্চারিত হতেও শুনি সভায় সমাবেশে ও রেডিও-টেলিভিশনে। কলকাতায় শব্দটি এর অনতিপূর্বে চালু হয়েছিল বলে মনে করার সঙ্গত কারণ আছে। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-এর নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন হওয়ার (১৯৭৭) অনতিপরেই, ফ্রন্টের সমর্থক বিশিষ্ট চিন্তাবিদ নারায়ণ চৌধুরীর সম্পাদনায় 'সংস্কৃতি ও অপসংস্কৃতি' ( ১৩৮৪ / ১৯৭৭) নামে ষোলজন বিশিষ্ট লেখকের রচনা সংবলিত একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এ গ্রন্থে সম্পাদক লিখিত ভূমিকায় উল্লেখ করা হয়েছে “অপসংস্কৃতি'' কথাটার ব্যাকরণগত ঔচিত্য ঘাই হোক, এটা একটা প্রচলিত, মোটামুটি সর্বজনগ্রাহ্য শব্দ। ব্যাপক ব্যবহারে বৈয়াকরণিক দোষ অনেকখানি ক্ষয়ে গেছে।”১ ভাষাগত দিক দিয়ে 'অপসংস্কৃতি' শব্দটির শুদ্ধাশুদ্ধি সম্পর্কে এ গ্রন্থের আরও দু একজন লেখক প্রশ্ন তুলেছেন, তবে শব্দটির ব্যাপক প্রয়োগ দেখে তাঁরাও এটিকে বাংলা ভাষার একটি অর্থসমৃদ্ধ শব্দ রূপে স্বীকার করে নিয়েছেন । গ্রন্থটির ভূমিকায় নারায়ণ চৌধুরী আরও লিখেছেন “পশ্চিম বাংলার নতুন বামফ্রন্ট সরকারের প্রধান হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীযুক্ত জ্যোতি বসু ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার অত্যল্প কাল মধ্যেই অপসংস্কৃতির বিরোধ আর সুস্থসংস্কৃতির প্রতিষ্ঠার জন্য জনসাধারণের কাছে বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়